Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped


এক নজরে

ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কোনপাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে আসা ছোট একটি স্রোত ধারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে জুড়ী শহর কে দুইভাগে বিভক্ত করে। উল্লেখ্য উক্ত নদীই ছিল পূর্বে ও কুলাউড়া বড়লেখা উপজেলার সীমানা প্রকাশ থাকা আবশ্যক লংলা পরগনার কালেক্টর কামিনীবাবু নাম অনুসারে কামিনীগঞ্জ এবং পাথারিয়া পরগনার কালেক্টর ভবানী বাবুর নাম অনুসারে ভবানী গঞ্জ নামে জুড়ী শহর আজও বিভক্ত। হকালুকি হাওর দিয়ে কুশিয়ারা নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। এ স্রোত ধারাটি সুচনার দিকে জুড়ী নদী নামে পরিচিত। এই জুড়ী নদীর কোল ঘেষে মানুষ বসবাস শুরু করে, গড়ে উঠে লোকালয়, জনপথ। আর ঐ জুড়ী নদীর কিনারায় গড়ে উঠা জনপদকেই জুড়ী অঞ্চল বলে চিহ্নিত হয়। উনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বেশ কিছু আদিবাসী এবং বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের বাইরের মানুষেরা জুড়ী উপজেলায় এসে বসতি স্থাপন করে। তবে জুড়ী উপজেলার বেলাগাঁও গ্রামে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বহিরাগত মানুষ এসে বসবাস শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় জুড়ী উপজেলা ৪ নং সেক্টরের আওতাধীন ছিল। সেক্টর কমান্ডার সি. আর. দত্তের নেতৃত্বে যুদ্ধ সংঘটিত হয়। ১৯৭১ সালের ২ ও ৩ ডিসেম্বর ফুলতলা, সাগরনাল ও কাপনাপাহাড় এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে পাকবাহিনীর প্রচন্ড লড়াই সংঘটিত হয়, ৪ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন সুখ লালের সাহসী ভূমিকায় জুড়ে উপজেলা হানাদার মুক্ত হয় তখন ক্যাপ্টেন সুখ লাল কিছু সৈন্য নিয়ে সাগরনাল ইউনিয়নে রয়ে যান। ৫ ডিসেম্বর সকালে জয় বাংলা স্লোগানে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করেন লাল-সবুজ পতাকা হাতে।